স্পোর্টস ডেস্ক, ৩১ আগষ্ট ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, কোনো ফরম্যাটেই তিনি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত নন। তিনি চান, আগামী চার বছরে দলের জুনিয়র খেলোয়াড়দের বেশি দায়িত্ব দেয়া হোক। তবে সাকিব জানেন যে, এই মুহূর্তে তার অধিনায়কত্ব দলের খুব প্রয়োজন।
সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘আমি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে দলের অধিনায়ত্ব করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। কিন্তু বর্তমানে দলের অবস্থা ভালো না। সুতরাং আমি বুঝছি যে, দলকে ভালো জায়গায় আনতে আমাকে নেতৃত্ব দিতে হবে। অন্যথায়, কোনো ফরম্যাটেই দলকে নেতৃত্ব দেয়ার আগ্রহ আমার নেই। আমি যদি অধিনায়কত্ব না করি তাহলে নিজের উপর বেশি গুরুত্ব দিতে পারব। এটি দলকে সাহায্য করবে।’
তিনি বলেছেন, ‘আমি চাই দলের জুনিয়র খেলোয়াড়রা বেশি দায়িত্ব নিক। আমরা (সাকিব ও মুশফিক) একেবারে অল্প বয়সে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়েছি। দলে এখন জুনিয়র যারা আছে তাদের বেশিরভাগের বয়স বয়স এখন ২৬-২৭ বছর। আপনি যদি তাদের দায়িত্ব না দেন তাহলে বুঝতে পারবেন না তারা কী করতে পারে। সামনে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সুতরাং, সামনের চার বছর নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা করা উচিত।’
সাকিব এই দ্বিতীয় মেয়াদে পূর্ণ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৭ সালের এপ্রিলে মাশরাফি বিন মর্তুজা অবসর নিলে ওই ফরম্যাটে সাকিব অধিনায়ক করা হয় সাকিবকে। ওই বছরের ডিসেম্বরেই তার কাঁধে টেস্টের অধিনায়কের দায়িত্বও দেয়া হয়।
১৩ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে সাকিব এই প্রথমবার অনীহা প্রকাশ করলেন। ২০০৯ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকে মাশরাফির ডেপুটি হিসাবে দায়িত্ব পালন করা সাকিবকে ২০১১ সালে স্থায়ী অধিনায়ক করা হয়। কিন্তু আট মাস পর তিনি দায়িত্ব হারান। অধিনায়কের দায়িত্ব হারালেও তিনি দলের নিয়মিত পারফর্মার। সর্বশেষ আইসিসি বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন দলের সেরা পারফর্মার। সামনে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা অবসর নিলে ওই ফরম্যাটেও সাকিবকে অধিনায়ক করা হতে পারে।
সাকিব বলেছেন, ‘গত বিশ্বকাপে আমরা আরো ভালো করতে পারতাম যদি দলের সবাই অবদান রাখতে পারত। যখন একজন অধিনায়ক ফর্মে থাকেন না তখন তিনি দলের চেয়ে নিজেকে নিয়েই বেশি ভাবেন। আমি মনে করি, গত বিশ্বকাপে মাশরাফি ভাইয়ের ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছে।’
গত বিশ্বকাপে আট ম্যাচ খেলে একটি উইকেট শিকার করেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এই বিষয়টি নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘এটা তার জন্য এবং দলের জন্য বড় একটা ইস্যু ছিল। একজন অধিনায়ককে পারফর্ম করতে হয়। সেই দিক থেকে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। সেমিফাইনালে খেলা অসম্ভব কিছু ছিল না। বিশ্বকাপে আমরা দারুণ সূচনা করেছিলাম। কিন্তু সেটি ধরে রাখতে পারিনি।’
Leave a Reply